বাক্‌ ১১৩ : নুসরাত নুসিন




কান্নাবাগান নদীবিবৃতি

দূরত্বের তীরে বসে আছি।
আজ বর্ষা, বিবৃতি আর গান-
গান জমে গেলে কান্নাবাগান ফোটে।
সহস্র বায়ুফুল,
ঘন হয় আর্দ্র শিশির।

আমি কতদিন নদীর নিকটে গেছি
আর সোজাসুজি ডুবিয়েছি চোখ-
কিছু সুদৃশ্য আঙুল
পেয়ে গেছি।
মুদ্রা হীন-
এসেও সে ছোঁবে না।
বিব্রত
ময়ূর।
 

ঘাসেদের নিজস্ব আলো নেই

এই বিরামহীন হাওয়ার প্রান্তরে তাকে দাঁ করিয়ে রেখেছে কে?
রাত্রির হিমসিক্ত পাতাল পেরোতে পেরোতে ভেবেছে,
যা সে এতকাল পেরিয়েছে
তা হাওয়ার প্রান্তর,
আর সম্মুখে যা তাও প্রান্তর।
একবার ভাবে,
রাতের পিঠে চড়ে ফটফটে
খোলাসা পৃথিবীর দিকে হেঁটে যাবে
একবার ভাবে,
প্রতিফলিত আলোর বিপরীতে
এই হিমে এইভাবে
বেশ আছে সে।
 

প্রস্থানবিন্দু

এইমাত্র খসে পড়া হলুদ পাতাটির শিরা বেয়ে
কান্না নেমে আসে।
ঝলকে ওঠে
হঠাৎ মৃত্যুর ল্লম্ব ছবি।

এই পাতা কি বয়োবৃদ্ধ গাছের আত্মাছবি?
সহস্র আয়ুর আর্তনাদ!
একটি সরলরেখা বরাবর
এইসব পাতাই কি ক্রমশ সমাপ্তিবিন্দু!

আর দুঃস্বপ্নের মতো অবশিষ্ট?


                                        (চিত্রঋণ : Manu Parekh)

2 comments: