বাক্‌ ১১৩ : সৌমিত্র চক্রবর্তী

ক্যানভাসে লাম্পট্য

আমার লাম্পট্য বিষয়ক গুনগুন শুনেছি বহুবার ইতস্ততঃ ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিগত প্রেমের গোবর লেপা সাদা দেওয়ালের আনাচে কানাচে সাধারণত নির্বাচনের পরে দেওয়ালগুলোর কোনো মালিকানা থাকে না, যে কেউ এসে কাপড় খুলে ধর্ষণ করে চলে যায় মুখের ওপরে নিপাট ভদ্রলোকের শাটার টেনে অথচ মাঝরাত এলেই পেচ্ছাপের থলি ভর্তি করে আমার কবিতা পায়, যত্তসব ট্র্যাশ চেপে রাখা ইচ্ছেঘুড়ি ভদ্র মুখোশ যেটা শেষবার হস্তশিল্প মেলায় কিনে পরেছিলাম অসাবধানে হস্তমৈথুন করার সময়ে কমোডের ফাঁকে হাওয়া হয়ে যেতেই আমিও ন্যাংটো হয়ে থৈথৈ ... অতএব তারপর থেকেই ইতিহাস ভূগোলের গোল ইত্যাদিতে ইতি টেনে পাক্কা শ্রোতা হয় নিবিড় ধৈর্যে শুনতে লাগলুম আমার লম্পট হয়ে যাওয়ার ইতিবৃত্তান্ত : আমার জাগতিক প্রেমিকারা ভার্চুয়াল থুতু ছুঁড়ে একে একে বলে যেতে থাকল তাদের স্তন যোনি মন্থনের যাবতীয় কূটকৌশল; আশ্চর্য নিপুনতায় দেওয়ালগুলো যাবতীয় আইনকে কাচকলা দেখিয়ে লেখায় শ্লোগানে ভরে যেতে থাকলো বিশ্বমানবতার গুদে বীর্য ঢেলে সময় শুনতে লাগলো আমার লাম্পট্যের টকঝালমিষ্টি গপ্পের পিএনপিসি।

ছত্রি

এক ছাদ থেকে অন্য ছাদে লাফানোর সময়ে

বত্রিশ ছত্রিশের উদোম বুকগুলো ইশারা করে

ব্রাউন নিপলের মদ্যিখানে সুড়সুড়ি রিবন হয়ে উড়ে যায়

ছাদের খোলা তলপেটে ঝামরে পড়ে নাক ঘষে মুখ ঘষে

ক্লিন শেভন কার্ণিশের গুদে একতাল সাদা মেঘ হেগে

ফুস ঘুম দ্যায় দু পাঁচশোর লাফানিয়া কাস্টমার

                                                                                (চিত্রঋণ : Francisco De Goya)