বাক্‌ ১১৩ : তৈমুর খান




নীলসত্য লালসত্য

হাসিদের নীলসত্য লালসত্য
দুর্গম কলেবর অসভ্য বৃত্তান্ত
সব আনো, মৃত মুখ তুলে দাও
লঙ্কাকাণ্ডে উদ্ধারের নতুন মহড়া
চায়ের দোকানে ধোঁয়া, কী সুন্দর
আহা কী সুন্দর মুক্তি
ফুল পেড়ে হাতে দিই
পাপড়িতে আমারই পরাগ
রাস্তায় রাস্তায় চুমু ফেরে
চুমুকে বলে দাও
আমি ওর রাতের মোরগ
বিকেল জুড়ে জুড়ে এক দীর্ঘ রাত
পোশাকবিহীন ধর্ম কাটিয়ে চলে যাই
দুর্দিনের নেমন্তন্ন, গরম তেলের আওয়াজ
সত্যের কলঙ্ক ভেজে দেয়
চা খাওয়ার সময়টুকু
নীলসত্য লালসত্য, একটু বিশ্রাম
তারপর ভাঙা যন্ত্র সবাই
শর্তহীন এক একটি হারমোনিয়াম




অনিঃশেষ
  
চাঁদ যায় লুকোচুরি মাঠে
যুক্তিরা নৌকা বাঁধে বিতর্কের ঘাটে
নতুন মাধবীলতা খোলে চোখের পাতা
চেয়ে দ্যাখে চারিদিকে কত কথা রটে
আকাশের এই নীচে ঢেউ এসে দেয় মুছে
মনোভূমি জুড়ে যত আঁকিবুকি কাটে

    
          

কাবুলিওয়ালা

ডাকলেই যাব
মসৃণ শহরে বড়ো অমসৃণ আছি
গ্রীষ্ম রোদে দুর্মুখ কাবুলিওয়ালা
যাই না সৌভাগ্যের কাছাকাছি

সব রাস্তায় আলোর স্তন
শিশু ও দেবতা মিলে খায়
অন্ধকারের পোড়া রুটি
ধোঁয়ার যোনিতে খুঁজে পাই

কোন্ পথে দাঁড়িয়ে আছ  ?
তোমার মঙ্গল সেতু যদি ডাকে
যাব
দুইদিক বেঁধে
মাঝখানে রাখব নিজেকে

কাবুল-ভারত
দুই হাতে ছুঁয়ে আছি সীমা
অসীমে অনন্ত লেখে কীসের তর্জমা


                                        (চিত্রঋণ : যোগেন চৌধুরী) 

No comments:

Post a Comment