বাক্‌ ১১৩ ।। মাসুদার রহমান ।। এ মাসের কবি

সোনাপাড়ার জাদুকর কবি মাসুদার রহমান



 
।। সম্পাদক সোনালী চক্রবর্তীর ইচ্ছানুসারে 'বাক্‌'-এর পক্ষ থেকে দু-চারটি কথা।।

।। মাসুদার রহমানের কবিতার সঙ্গে আমি প্রায় ছয় বছর পরিচিত। এই সময়কালের মধ্যে এই কবি তাঁর প্রায় প্রতিটি কবিতাতেই আমাকে অবাক করেছেন। মাসুদার হলেন সেই কবি, যিনি এই সময়ের বাংলা কবিতায় একজন বংশীবাদক। একটি নতুন আবিষ্কারের আনন্দ ছাড়া কোনো কবিতা রচনা করেন না। তাঁর যে কোনো কবিতাতেই বিস্ময়ের অপূর্ব শিহরন জেগে থাকে, ঘুমোয় না, সেই শিহরন কবির থেকে সঞ্চারিত হয় পাঠকের পিপাসিত অন্তঃকরণে। একজন মধ্যযুগীয় জাপানী শিল্পীর মতো মনে হয় তাঁর নির্নিমেষ যাপনকে। এ-রকম কবি আজ আমাদের মধ্যে সত্যিই বিরল। মাসুদার গ্রামে থাকেন, তাঁর অনেক কবিতার মর্মবস্তুই পল্লির আবহাওয়া থেকে সংগৃহীত হয়, কিন্তু তাঁর কবিতার নির্মা ও ভাষা অত্যন্ত স্মার্ট এবং নাগরিক। বলা যায় মাসুদার রহমানের কবিতায় বাংলার গ্রাম ও শহর এক হয়ে যায় বারবার। ঠিক একইভাবে এক হয়ে যায় বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গও। দুই বাংলায় কবিতা নিয়ে যাবতীয় সমকালীন চিন্তাধারা এবং চিরকালীন ভাবনাপ্রক্রিয়াকে মাসুদার তাঁর কবিতায় প্রয়োগ করেছেন একজন সচেতন কবিতালেখক হিসাবে। এর ফলেই মাসুদার বর্তমান বাংলা কবিতায় অবশ্যপাঠ্য একজন কবি হয়ে উঠেছেন। তাঁর এই হয়ে ওঠা যদি দৃষ্টিগোচর করতে হোলে এই কবিতাগুলো আপনাকে পড়তেই হবে পাঠক। এ সত্যিই একটি জাদু-প্রকাশ। (অনুপম মুখোপাধ্যায়)

                                                                       


মাসুদার রহমানের কবিতা


বেলুনে চড়ে উড়ে যাওয়া ছেলেমেয়েগুলো

বেলুনে চড়ে উড়ে যাওয়া ছেলেমেয়েগুলো
আমাকে সোনাপাড়ার মাঠে মাঠে হাঁটতে দেখে হাততালি দিচ্ছে
বলছে- জেঠু, তুমিও আমাদের সাথে এসো

বয়স অনেক হল; জেঠু  ডাক চমৎকার মানিয়ে যাচ্ছে
আর ঠিক জানিও না শিশুদের সাথে এ বয়স উড়তে পারার কি না

বুকের চামড়া তুলে আমি সেই কবে থেকে ঝাঁক ঝাঁক পাখি উড়িয়ে দিচ্ছি
বেলুনে চড়ে
উড়ে যাওয়া ছেলেমেয়েদের সাথে উড়তে থাকুক দূর পৃথিবীর দিকে



সকালের সংবাদ

লাফিয়ে নামছে অজস্র আলোর বল এবং ছড়িয়ে যাচ্ছে
নানা দিকে
যার দু’একটি এসে ঢুকলো আমার চোখের ভিতরে  
অসুখে পেরুনো শৈশব একটি সামান্য ফুটবলও যেভাবে পাইনি

ঘাস থেকে মুখ তুলে গরুটি হাম্বা শব্দে ডেকে উঠছে
ওর ঝকঝকে দাঁত মাজা টুথপেস্ট দিয়ে

উঠোনের ডাবগাছ, এক এরোপ্লেন দম্পতি কবে যেন
বাসা বেঁধেছিলো
দেখি সে বাসায় দুটো ডিম ফুটে ছানা বেড়িয়েছে;
রোঁয়া ওঠা কচি ডানা
ভোঁ ভোঁ শব্দে ভরে আছে সারাটি সকাল



ফাল্গুনের কবিতা

পাখিদের এই বন আর এক ভাল্লুকমেয়ের প্রেমে
বনের গভীরে পথ হারিয়েছি; সবুজ লতাপাতা শরীরে জড়িয়ে
আমি এক হেঁটে চলা গাছ

আজ প্রথম ফাল্গুনদিনে বনের গভীরে
কেউ কাঠ কাটছে
দূর হতে তার শব্দে ভেসে আসছে
ধারালো কুঠার



পাতকুয়া ও নতুন চাঁদ

১.
তরমুজক্ষেতের পাশে রাত্রিকাল আড়াআড়ি লম্বা ঘুমিয়ে
একটি পাতকুয়া জেগে আছে
আমি তার জলে ছোট চাঁদ; একটি পুরুষ চাঁদ
এই জলে ছায়া দান করে ফিরে গেছে  
আর যে আমাকে শরীর অংশ মনে করে
তার শরীর জলের মধ্যে বেড়ে তুলেছিল   সে শেখালো আকাশে উড়াল ক্রীড়া
তরমুজ চাষি কুয়োজলে সেচ কাজে বালতি নামালে
একদিন দড়ি বেয়ে আকাশে উঠেছি

১.
শূন্যস্থান পূরণ করতে করতে যতো বার উদয়-আসি কিংবা অস্ত যাই
দেখি
টেবিলের উপরে গোল কাঁচজোড়া
চশমাটি কে রেখে গিয়েছে ?   আমি সেই চশমাটি
মহাত্না গান্ধির চোখে পড়িয়ে দিয়েছি
লম্বা কলার পাতা আনত ঘোমটার আদল
আমি তার নীচে একখানি মুখ আঁকি মনে মনে
হেসে ওঠে সবুজ ঘোমটা পরা মা তোমার মুখ



জিওগ্রাফি

খুব বরফ পড়ছে; স্কটল্যাণ্ডের দূরতম আদিবাসি গ্রামে
ফায়ারপ্লেসের কাছে উলের পোশাকমোড়া কয়েকজন এস্কিমো

এতো ভয়াবহ শীত; হাতমোজা জ্যাকেট জুতো ও টুপি ছাড়া
বাইরে কেন?
আমার শিশুকে এই প্রশ্ন করেছি

মাথার উপরে তখনই সূর্য জ্বলছে
কালাহারি মরুপথে চালিয়ে দিচ্ছে বহু উটের কাফেলা

ওদিকে গরমে ঘেমে নেয়ে অস্থির আমার গৃহিনী
পৃথিবীকে ডিপফ্রিজের ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে
বলছে; আমরা আবারও হিমযুগে প্রবেশ করেছি



পাখি

ধূসর পেঁপেগাছ তোর সবুজ ওড়না ভাল
পুরোটা ঢাকেনি
সবুজ ও সামান্য রং লাগা ফলে
পাখিরা বসছে

চাষি বাবার ছড়ানো গমখেতে
আমিই তো একমাত্র পাখি তাড়ানো ছেলে
ধূসর পেঁপেগাছ ইচ্ছে করে
আমি তোরও পাখিতারুয়া হই

কিন্তু হব না

সবুজ টিয়ে হব, ফল ঠুকরে
সুড়ঙ্গ বানিয়ে
একদিন আমি তোর মনে গিয়ে বসবো




দাম্পত্য

ঘুমের মধ্যে কথা বলছে বউ
ঘুরে ফিরে বলছে ওর ছেড়ে আসা প্রেমিকের নাম

বলুক না

সে নাহয় ঘুমের মধ্যে

আমি তো কেবল ওর জেগে থাকাটুকু



লিভ-টুগেদার
       
সিলভিয়া প্লাথের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক এক ছাদের নিচে এলো

আমি আর সিলভিয়া মিলে
মাছ-আড়তের পাশে বাড়িভাড়া নিয়ে আছি

শস্তায় মাছ কিনি; সহজ আমিষ খাই

আশপাশে অনেক বরফকল আমরা প্রস্তুত আছি
আমাদের সম্পর্কের
কখনও পচন এলে; শস্তা বরফ কিনে পচন ঠেকাব




শ্রাবণের কবিতা

গান গাইছে আমনের বীজতলা

এবার শ্রাবণ ভাল
রোদ আর বৃষ্টি মিশিয়ে দারুণ এক রেইন কোর্টে-এ বাইক
হাঁকাবো সোজা রেইন বো গ্যালারি

প্রণাম মনষ্ক বাঁশবাগান নত হচ্ছে
তার পাশে আমাদের ন্যাশনাল পার্লামেন্ট

ধানখেত, ডোবার জমানো জলে মুখ দেখে
রাষ্ট্রপতি হাসছেন



আপেল চাষির গল্প

আপেল চাষির গল্পের অনেক অংশ জুড়ে
শীতকাল
বছরের কয়েকটি দিনমাত্র বরফের ঘটনা
আছে ওর গাছ হতে আপেল নামাবার
একটি সরলযন্ত্র; আপেল বহনের জন্য ঘোড়া দুটি

দিন শেষ হয়ে আসে

সন্ধ্যার কাছে ছোট আপেল বাগান রেখে
ঘরে যায় চাষি

ঘর এক প্রকাণ্ড আয়না

আয়নাটি সারারাত আপেল হয়ে উঠবার গল্প বলে


হাঁস

অনেক বৃষ্টির পর উঠোনের হাঁসেরা; তারা কোথায় যে ভেসে গেল !

শ্রাবণ পুকুর মাঠ থৈ থৈ; ভরা সন্ধ্যের মুখে জল আর কাদা

মাথার উপরে ধরে বউয়ের এগিয়ে দেয়া
ছাতা ও হেরিকেন হাতে খুঁজতে চলেছি !

হাঁসের পিছনে হেঁটে কখনও কেটেছে কোন কবির জীবন ?

ভয়ে আছি ! কিভাবে লুকাবো যদি হারানো হাঁসেরা; ফের
ডেকে ওঠে বাঙলা কবিতায়



আমার বাঙলা কবিতা

১.
তাকিয়ে রয়েছি; কেউ নেই। দূর পথের ওপারে ধুলো উড়ছে
কোনো অশ্বারোহী ?
-কেবল বিভ্রম

টানানো দরিদ্ররেখা; তার নীচে পাখিরা কাঁদছে 
কাঁদছে মানুষ

আমার বাঙলা কবিতা তুমি কি বিশ্বাস করো
প্রান্তরে ছড়ানো
এখনো এতোটা ধোঁয়াশা

পড়ে থাকা বিষাদ ও নির্জনতাগুলো
নীচু হয়ে
পায়রার ঠোঁটে তুলে তোমাকে দেখাব !

২.
পাউরুটির পেট কেটে সবজি ও কাটলেট
পুরিয়ে
খেতে গিয়ে ভাবি নতুন কবিতা নিয়ে

ভাবি; অপর অথবা পুনরাধুনিক কবিতা কী !

এর মধ্যে একটি গরম চায়ের কেটলি
চলে আসে
যা আসলে দুধ ছাড়া

লেবুগাছ গাভীর ভূমিকা রাখে বিধবা চায়ের কাপে

৩.
জ্বরের ঘোরে যা যা বলি তাকে তুমি
কবিতা ভেবো না

আরশোলা আসলে কী পাখি    উড়ে যাবে
উত্তর মেরু থেকে
দক্ষিণ সাগরের দিকে
এক রাত্রি ঝিঁ ঝিঁ পোকা সঙ্গীত সমগ্র করে
অন্ধ আলোয় গা লুকিয়ে গাইছে     নিশ্চুপ

কথাগুলো কবিতা ভাবছে কেউ !

কবিতার গভীরে কেউ খুঁজে নিচ্ছে ব্যক্তিগত জ্বর

‘এক গ্লাস জল দাও’ জ্বরগ্রস্ত লোক চাইছে
সারারাত প্রান্তরে দাঁড়িয়ে

চাঁদ একটি প্যারাসিটামল



কবি পরিচিতি
নামঃ মাসুদার রহমান
জন্মতারিখঃ ০১ সেপ্টেম্বর ১৯৭০
ই-মেল এড্রেসঃ masudar88@gmail.com
ফোনঃ ০১৭১২২১৮০৮২
প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যাঃ ০৯।
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ
১.হাটের কবিতা২. উত্তরবঙ্গ সিরিজ৩. সমুদ্র ৪.মাসুদার রহমানের কবিতা৫. ডাকবাংলো।৬. ডায়ালের জাদু


52 comments:

  1. শুধু চমক ...আর পড়ছি ...কিছু বলার নেই ...মুগ্ধ !

    ReplyDelete
  2. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  3. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  4. অাপনার কবিতা আমি খুব পছন্দ করি একটিই মাত্র কারণে। সেটা হলো: খুব জটিল ভাবকে বড্ড সহজ করে, কঠিন চিন্তাকে আরামদায়ক নরম করে, অধরা চিত্রকে নিজস্ব স-ধরা করে, কল্পনাতীত চিত্রকল্পকে অভিজ্ঞতালব্দ চিত্রকল্পে কি দারুণ ভাবেই না গোল কমলালেবুর মতো হলুদ বিকেল ধরিয়ে দেন পাঠকের অমসৃণ হাতে। অামি ঈর্ষা করি কবি মাসুদার রহমানকে। তাঁর কবিতাকে। এমন কবিতা অামি অামরণ লিখতে চেষ্টা করব। সেটাই আমার সাধনা। কিন্তু ঈর্ষা করি না ব্যক্তি মাসুদারকে। কারণ তিনি আমার পরম আপন কেউ। একদিন মাত্র দেখা হলেও আমি আপনাকে চিনি ‘ডায়ালের যাদু’ থেকে। অার কবিবন্ধু নিশীথ দাসকে ধন্যবাদ। সেই প্রথমে আপনার কবিতা নিয়ে আমার সাথে আলাপ পাড়ে। তারপর আমি আপনার বই সংগ্রহ করি। আপনার কবিতার আমি এক অন্ধপাঠক। আপনার কবিতা এমন যে না পড়ে যদি শুধু শোনাও যায় মনে হবে আমি অন্ধনয়।

    ReplyDelete
  5. লিভ-টুগেদার বাঁচাগুলো এইসব বরফে বেঁচে ওঠে বারবার।

    ReplyDelete
  6. আমার প্রিয় কবি♥♥♥

    ReplyDelete
  7. প্রিয় কবি। আপনার প্রতিটি কবিতাতেই মুগ্ধ হই। এমন আপাতসরল শব্দগুচ্ছে ইতিউতি ছবি ছড়িয়ে থাকে আর একটা জারণ অনুভব করি, সবসময়ই।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ, পাঠ ও মন্তব্যের জন্য।

      Delete
  8. চমৎকার সব কবিতা। ভালোবাসা প্রিয়।

    ReplyDelete
  9. প্রিয় কবি , প্রেমে পড়ে যাচ্ছি ... কবিতা পড়ে এ কি আতান্তর

    ReplyDelete
  10. অসাধারণ ভাবনা, বুনন এবং শব্দচয়ন। যত পড়ি ততই মুগ্ধ হই কবি।

    ReplyDelete
  11. অসম্ভব টান! অসম্ভব টান! আপনি কি গ্রাভিটি বানান ...আমরা যেন অসহায় বস্তু ...কি অসম্ভব টান আপনার লেখায়

    ReplyDelete
    Replies
    1. শান্তনু, ভালোবাসা তোমাকে।

      Delete
  12. প্রতিটি কবিতাই পড়লাম । মনে হচ্ছে বার বার পড়ি । এমন ভাবের ঘর দেখে অভিভূত আমি ।

    ReplyDelete
  13. রেইন কোর্ট আর রেইন বো কি জিনিস, তা আমার জানা নাই। রেইনকোট আর রেইনবো কি? বাংলাদেশের গাঁয়ের ছেলেমেয়েরা সাধারণত জেঠা বলে, জেঠু না। কয়েকটা কবিতায় এক স্টাঞ্জা থেকে আরেক স্টাঞ্জায় গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলায় কবি যেসব চমকের অবতারণা করেছেন, সেসব কেবল চমক হিসেবেই থেকে গেছে। কাব্যিক দ্যোতনা তৈরি করেনি।'আমার বাঙলা কবিতা'এই কবিতাটা পড়ে মনে হলো বাংলাদেশের সমকালীন কবিতার সঙ্গে কবির পরিচয় নেই।

    এর বাইরে জিওগ্রাফি, দাম্পত্য, লিভ টুগেদার দুর্দান্ত কবিতা। কবিকে অভিবাদন।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ@joy mahfuz আপনার মূল্যবান পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ।

      Delete
  14. কবিতা গুলো একবার পড়ে মন ভরে না। বার বার পড়ার জন্যই এই কবিতা। স্যালুট কবি....স্যালুট জানাই আপনার কবিতাকে

    ReplyDelete
    Replies
    1. মেহেদী, অনেক শুভ কামনা জানাই।

      Delete
  15. সুন্দর প্রতিটি লেখাই

    ReplyDelete
  16. দাম্পত্যর কাছে মাথা নামিয়ে রাখলাম...।। @ অভিষেক

    ReplyDelete
  17. বেশ শিহরণ জাগানো কবিতা!

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ। শুভ কামনা জানাই।

      Delete
  18. পড়ার পর মনে হল সমুদ্রের শান্ত এলাকায় চলে গেছি....

    ReplyDelete
  19. আপনার কবিতায় গ্রাম্য শব্দের বুনুনগুলো খুব সুন্দরভাবে খুঁজে পাই । যেগুলো আমার খুব ভালোলাগার বিষয় । আমার প্রিয় ছোটবেলাকে খুঁজে পাওয়ার বিষয় । চরিত্র, ছবি, ভাবনা মিলেমিশে সংগঠন সংগৃহিত লেখ্য প্রকাশ । একটা অনন্য মাত্রা দীপ্তিমান হৃদয় কুঠুরিতে । ভালো লাগেই

    ReplyDelete
  20. সত্যি অবাক করা কবিতাগুলো। এর বেশি কিছু বলার নেই।

    ReplyDelete
  21. ইদানিংকার খুব কম কবিতায়ই আস্বাদনের এতো উত্তুঙ্গ স্বাদ পেয়েছি।
    ধন্যবাদ কবি মাসুদার রহমান।

    ReplyDelete
  22. কি বলবো! আমি অভিভূত!

    ReplyDelete
  23. প্রণাম মনস্ক বাঁশবাগান নত হচ্ছে /
    তার পাশে আমাদের ন্যাশনাল পার্লামেন্...
    নম্রতা, বিনয়, শ্লেষ ও ছায়াময় বাস্তবতায ছেয়ে থাকা চেতনের কবিতা ।
    ভালো থাকো, ভালো লেখো বহুদিন । শুভেচ্ছা ।

    প্রণব চক্রবর্তী

    ReplyDelete
  24. আপনি কবিতাকে কতভাবে খেলাতে পারেন কবি? কত রসনা জানেন আপনি? শুভকামনা প্রিয় কবির জন্য

    ReplyDelete