বাক্‌ ১১৩ : পলাশ কুমার পাল




ঈশ্বরের কাছে ভক্ত

রঙগুলো বলেরই পুর করে
ছুঁড়ে দিই,
পা-ফেরকানো স্ট্যাচুর তলা দিয়ে গলে
বাই-চার...

চশমাটা খুলে দেখি
বুড়ির দুই স্তন

ছেঁড়া ব্লাউছে বলের শিশির মুছে
ক্যাপ্টেন চাইছে ইয়োর্কার...



আইবুড়ো কাহিনি

কালো ঘোড়াটা ছুটছে,
খুড়ের ছাঁচ থেকে ঘোড়া হয়ে
ঘোড়াগুলো ছুটছে...

রঙীন দোকান চারপাশে:
রঙীন পতাকাগুলো
ঘেমোহাতে আইবুড়ো স্তন চাপা দিয়ে

দরজা বন্ধ করে।
তবু এলোচুলে রঙীন লাগাম

ছেঁড়া
দেয়ালঘড়ির টুকরোয় বীজ বুনে
উত্তরের জানলা হাঁফায়...






অ্যাক্সিডেন্টের পর

কালো সিঁড়ি।
পায়রারা খুদ ফেলে উড়ে যায়-

হাঁটু থেকে কাটা-পা এগোয়
ক্রমশ
চাঁদ থেকে মঙ্গল
মঙ্গল থেকে বৃহস্পতি, শনি...

কামড়ানো পুরপিঠে হাতে,
ঝুরো নারকেল ঝরে, ঝুলে খেঁজুর গুড়-

নার্স এসে বলে 'এ অন্য ছায়াপথ!'



এখনকার সত্য

দেয়ালের গায়ে টিকটিকি
সাংসারিক,
অথচ দেয়াল ভেদ করতে পারে না।

পেরেকে টাঙানো ক্যালেণ্ডারে
ওঠে আর নামে...

জল শব বাতাসে মিশলে
আগুনের উপরে ক্ষীর
বুড়ি ঠাকুমার মতো লাঠি ধরে হাঁটে...

                                        (চিত্রঋণ : উইলিয়াম ব্লেক)

2 comments:

  1. তুমি দারুণ বন্ধু

    ReplyDelete
  2. ৪টে কবিতা অন্য রকম আভাস দিচ্ছে পলাশ কুমার পাল সম্পর্কে, 'কোথাও একটা আলো জ্বলে উঠছে'...

    ReplyDelete